বরিশালে কঠোর লকডাউনে রাস্তাঘাটে বাড়ছে মানুষ-যানবাহন

বরিশালে কঠোর লকডাউনে প্রতিদিন রাস্তায় বাড়ছে মানুষ ও যানবাহন। খুলছে জুতা দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় অনেক দোকান। এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় গতকাল বরিশালে ১২জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া অপর ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়নে টহল অব্যাহত রাখলেও তাদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
যত দিন যাচ্ছে তত অসহিঞ্চু হয়ে পড়ছে বরিশালের মানুষ। ধারাবাহিক কঠোর লকডাউনের ১২তম দিন গতকাল সোমবারও নগরীর রাস্তাঘাটে প্রচুর মানুষ দেখা গেছে। প্যাডেল রিক্সার পাশাপাশি ব্যাটারীচালিত রিক্সা, মোটর সাইকেল, ব্যক্তিগত যান এবং পন্যবাহী প্রচুর যান চলাচল করেছে। থ্রি-হুইলার, লঞ্চ-বাস এবং কিছু দোকান বন্ধ থাকা ছাড়া বলতে গেলে সবকিছুই স্বাভাবিক। লকডাউনের প্রথম দিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ২০টি চেকপোস্টে অযথা মানুষ এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এখন সেসব শিথিল হয়ে গেছে। সকালের দিকে নগরীর পোর্ট রোডের মাছের আড়তে প্রচুর ভীড় দেখা গেছে। বাজারে আসা বেশীরভাগ মানুষের মুখে ছিলো না মাস্ক। অন্যান্য বাজারেও সকালের দিকে ভীড় দেখা গেছে। পাড়া-মহাল্লায় খুলেছে চায়ের দোকান। এসব দোকানে আড্ডাবাজী চলে দিনভর।
এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় গতকালও নগরীতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ায় ১২জনকে আটক করে ডিটেনশনে রাখা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি লংঘন এবং লকডাউন উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ১৫ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করে।
ডিটেনশনে আটক ১২জনকে নির্ধারিত সময়ের পর জরিমানা করে ছেড়ে দেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম।
অপরদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় নগরীতে সেনা বাহিনী, বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।